শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঠাকুরগাঁওয়ে তরুণীকে ধর্ষণ মামলা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে আসামিকে গ্রেপ্তার করে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার হাটসিরা গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে বাদল মিয়া (৩৭)। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে চাকরিচ্যুত।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকুরি করতো। বাদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়া এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তিনি ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও রেকর্ড করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেইসব ভিডিও, ছবি ও কথোপকথন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন আসামি।
এ ছাড়া হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছ থেকে তিনি ৬টি ফাঁকা চেকের পাতায় সই নেন এবং একটি মোবাইল ব্যাংকিং-এর অ্যাকাউন্ট সম্বলিত সিম কার্ড নেন।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে সই করা ফাঁকা ৭টি চেকের পাতা, ২টি ফায়ার সার্ভিসের ড্রেস, ৩টা মোবাইল ফোন, ১টা ডায়েরি, ৩টা চেকবই এবং ২টা পেনড্রাইভ জব্দ করে পুলিশ।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেন সেই তরুণী। ওসি আরও বলেন, মানুষকে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করতো আসামি।
ভুক্তভোগী জানান, গত ১২ জুলাই বাদল মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি দেন যে তার সঙ্গে দেখা না করলে তিনি ছবি, ভিডিও ও কথোপকথন ভাইরাল করে দেবেন। পরে ভয়ে তিনি শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালে দেখা করেন। এ সময় বাদল মিয়া জোর তাকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহাবুব তালুকদার বলেন, চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ তাকে চাকুরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
Leave a Reply